এই শীতে চুলের যত্নে Best 12 টি উপকারী টিপস

Rate this post

Table of Contents

এই শীতে চুলের যত্নে কিছু উপকারী টিপস এ আপনাদের স্বাগতম। চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি বিভিন্ন কারণে মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ করে। দেখতে দেখতে আবারও শীত চলে আসলো,শীত নিয়ে উদাসীনতা অথবা চুলের যত্নে অবহেলা আপনার জন্য চুল নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে! শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়া অন্য ঋতুর তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শীতের শুষ্ক বাতাস এবং কম আর্দ্রতা চুলকে রুক্ষ, ভঙ্গুর এবংঅগোছালো  করে তুলতে পারে। তাই, এই ঋতুতে আপনার চুলকে সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে কিছু বিশেষ যত্নের প্রয়োজন

চুলের যত্নে

১. চুলের যত্নে গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুনঃ

আমরা অনেকেই  শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে বেশি স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করি। স্কিন্তু এখানেই আমরা নিজের অজান্তেই চুলের ক্ষতি করে ফেলি। আমাদের প্রথমত খেয়াল রাখতে হবে গোসলে গরম পানি ব্যবহার করলেও চুলের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করব। চুলের জন্য গরম পানি অনেক ক্ষতিকর। এটি চুলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার কেড়ে নেয় এবং চুলকে শুষ্ক করে তোলে। যার ফলে খুস্কি এবং চুলে জটলাগা সহ নানান রকমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই, চুল ধোয়ার সময় ঠান্ডা বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুল প্রাকৃতিক ভাবেই অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

২. চুলের যত্নে মেথি নারকেল/অলিভ তেল ম্যাসাজ করুন: 

নারকেল ও অলিভ তেল দুটোই চুলের যত্নে অত্যন্ত উপকারী। এই তেলগুলোতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলকে পুষ্টি যোগায়, চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাজার থেকে কেনা তেলের সাথে আলোভেরার নির্যাস এবং মেথি গুড়ো করে বোতলজাত করে ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। শীতকালে এই তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করলে চুলের শুষ্কতা দূর হয়ে চুল নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে। শীতকালে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল দিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। তেল ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বকের সুক্ষ্ণ শিরা/উপশিরায় রক্ত প্রবাহ নিয়মিত হয় এর ফলে চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সম্ভব হলে সপ্তাহে ২-৩ দিন চুলের গোড়ায় তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। 

. চুলের যত্নে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন:

চুলের স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হলো নিয়মিত পরিচর্যা। আমরা অনেকে শ্যাম্পু নিয়মিত ব্যবহার করে ভেবে থাকি চুলের যত্ন ঠিকঠাক ভাবেই হচ্ছে, তবে আমাদের এই ধারণা অনেকাংশেই সঠিক নয়।
কন্ডিশনার হলো চুলের যত্নে একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। শ্যাম্পু চুলের ময়লা দূর করলেও চুলের স্বাভাবিক মসৃনতা ফিরিয়ে আনতে পারেনা যার জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনার চুলকে নরম, মসৃণ এবং চকচকে করে তোলে। এটি চুলের কণিকাগুলিকে সুস্থ্য করে, চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুলকে ভাঙা থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে শীতকালে, যখন চুল শুষ্ক হয়ে যায়, তখন কন্ডিশনার ব্যবহার অত্যন্ত সুফল পাওয়া যায়। তাই, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

কন্ডিশনার ব্যবহারের কিছু টিপস:

  • শ্যাম্পুর পর সবসময় কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
  • কন্ডিশনার মাথার চামড়ায় না লাগিয়ে শুধু চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগান।
  • কন্ডিশনার লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

. চুলের যত্নে ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন:

শীতকালে আমরা ঘর গরম রাখতে বিভিন্ন প্রকার রুম হিটার ও এয়ার হিটার ব্যবহার করি । যা আমাদের আরামদায়ক অনুভূতি প্রাদান করে। তবে এ থেকে সৃষ্ট কৃত্রিম গরমের কারণে ঘরের ভিতরের বাতাস খুব শুষ্ক হয়ে যায়। এই শুষ্ক বাতাসের কারণে ত্বক, চুল এবং শ্বাসনালীতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।

কিছু উপায় যার মাধ্যমে ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়:

  • হিউমিডিফায়ার ব্যবহার: হিউমিডিফায়ার বাতাসে জলীয় বাষ্প ছড়িয়ে দেয় এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে।
  • গাছপালা রাখা: ঘরে গাছপালা রাখলেও বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়।
  • গরম পানি ব্যবহার: গরম পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে। গরম পানির পাত্র বা কেটলী রেখে দিতে পারেন।

ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখার উপকারিতা:

  • ত্বক ও চুলের শুষ্কতা দূর করে।
  • শ্বাসকষ্ট কমায়।
  • অ্যালার্জি এবং ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমায়।
  • কাঠের আসবাবপত্রকে ফাটতে বাঁচায়।

মনে রাখবেন: অতিরিক্ত আর্দ্রতাও ক্ষতিকর। তাই, আর্দ্রতার মাত্রা সঠিক রাখা জরুরি।

৫.চুলের যত্নে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন:

শুধুমাত্র শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহারেই চুলের যত্ন যথেষ্ট নয়। সপ্তাহে একবার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। কারণ এতে চুলের গভীরে পুষ্টিগূণ পৌছে ক্ষয়ে যাওয়া কোষ গুলোকে স্বাভাবিক ও সুস্থ্য করে তোলে। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখে, শুষ্কতা দূর করে, চুলকে করে তোলে মসৃণ এবং চুলের পর্যাপ্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের চুলের সমস্যার সমাধানে হেয়ার মাস্ক অত্যন্ত কার্যকর। বাজারে বেশ জনপ্রিয় কিছু হেয়ার মাস্ক পাওয়া যায়। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের পরাম্শ নিন , সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য আজই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার শুরু করুন।

৬. চুলের যত্নে চুল ঢেকে রাখুন:

শীতের শুষ্ক বাতাস থেকে চুলকে রক্ষা করার জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় স্কার্ফ বা টুপি পরুন। চুল ঢেকে রাখা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বাইরের ধুলোবালি থেকে চুলকে রক্ষা করে। স্কার্ফ বা টুপি পরলে চুলের গোড়া ও ডগা উভয়ই সুরক্ষিত থাকে, যা চুলের ভঙ্গুরতা ও ছিঁড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৭.চুলের যত্নে ভেজা চুল আঁচড়াবেন না:

আমরা অনেকে প্রায়শই এই ভূলটি করে থাকি তা হলো গোসলের পর তাড়াতাড়ি চুল আচড়ে ফেলা। মনে করি এতে খুব সহজেই চুল আচড়ানো যাবে। কিন্ত সমস্যা হলো ভেজা চুল খুব নরম এবং সহজে ভেঙে যায়। তাই, চুল ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে তারপর আঁচড়ান। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করার পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকানোর চেষ্টা করুন। সবচে ভালো উপায় হলো গোসলের পর টাওয়েল দিয়ে ভেজাচুল পেচিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুল তাড়াতাড়ি শুকাবে। এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

৮. চুলের যত্নে হেয়ার ড্রায়ার কম ব্যবহার করুন:

হেয়ার ড্রায়ারের তাপ চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি চুলের আর্দ্রতা কেড়ে নেয় ফলে চুল শুষ্কতা, খুশকি হবার প্রবণতা এবং চুল ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, যতটা সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। যদি একান্তই জরুরি হয়ে পড়ে, তাহলে কম তাপমাত্রায় এবং চুল থেকে কিছুটা দূরে রেখে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমে যাবে। অথবা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের আগে চুলের গোড়ায় হেয়ার সিরাম লাগিয়ে নিন। এটি চুলকে তাপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

আপনি চুল শুকানোর জন্য এই বিকল্পগুলো ব্যবহার করতে পারেন:

  • প্রাকৃতিকভাবে শুকানো: গোসলের পর টাওয়েল দিয়ে হালকা করে চুল মুছিয়ে ফেলুন এবং তারপর প্রাকৃতিকভাবে শুকানোর জন্য রেখে দিন।
  • ট-শার্ট দিয়ে শুকানো: টাওয়েলের বদলে একটি পুরনো কটন ট-শার্ট দিয়ে চুল মুছতে পারেন। ট-শার্ট চুলকে কম ক্ষতি করে।

মনে রাখবেন: হেয়ার ড্রায়ার যত কম ব্যবহার করবেন, ততই আপনার চুল সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

৯. চুলের যত্নে সুষম খাদ্য গ্রহণ করুনঃ

এবারে যেই কথাটি বলতে যাচ্ছি এটি মূলত সবচেয়ে গুরুত্বপূরণ। কেবল মাত্র বাইরে থেকে চুলের যত্ন নেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য ভেতর থেকে পুষ্টি জোগান দেওয়ারও কোনো বিকল্প নেই। সুষম খাদ্য গ্রহণ করে আপনি চুলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে পারেন। আমাদের চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন পুষ্টিগুণ প্রয়োজন যেমন প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইতাদি। কিছু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ, বাদাম, বীজ, পালং শাক, গাজর ইত্যাদি আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। এই খাবারগুলি চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে, চুল পড়া কমায় এবং চুলকে মসৃণ ও চকচকে রাখতে সাহায্য করে। তাই, সুন্দর চুলের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

১০.মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুনঃ

ভেজা চুলে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা অনেকেরই অভ্যাস। তবে এটা চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। ভেজা চুল বেশ নরম ও ভঙ্গুর হয়। তাই ভেজা চুল মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত টান পড়ে এবং চুল ছিড়ে যেতে পারে। ফলে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই, ভেজা চুলে মোটা দাঁতের চিরুনির পরিবর্তে নরম তোয়ালে দিয়ে চুল হালকা করে চাপা দিয়ে পানি শুষিয়ে নেওয়া উচিত। চুল সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলেই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা ভালো।

  • কোন ধরনের চিরুনি ব্যবহার করবেন: ভেজা চুলে আঁচড়ানোর জন্য বিশেষ ধরনের চিরুনি রয়েছে। এগুলো চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে পানি শুষিয়ে নিতে সাহায্য করে।
  • চুল আঁচড়ানোর সঠিক পদ্ধতি: চুলের গোড়া থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে ডগা পর্যন্ত আঁচড়াতে হবে। হঠাৎ করে টান দেওয়া যাবে না।
  • চুলের ধরন অনুযায়ী চিরুনি: বিভিন্ন ধরনের চুলের জন্য বিভিন্ন ধরনের চিরুনি ব্যবহার করা উচিত।

১১.খোলা চুলে ঘুমানো হতে বিরত থাকুনঃ

চুল খুলে ঘুমানো একটি সাধারণ অভ্যাস যা অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ, সে সম্পর্কে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন চুল খুলে ঘুমানো চুলের ভঙ্গুরতা বাড়াতে পারে এবং চুলের প্রাকৃতিক মসৃণতা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন যে চুল খুলে ঘুমানো চুলের গ্রোথকে বাড়াতে সাহায্য করে এবং চুলের স্বাস্থ্যের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। তবে খোলা চুলে ঘুমালে আমরা অনেকেই যে প্রধাণ সমস্যা ফেস করি তা হলো চুলে জট লাগা। এ থেকে পরিত্রাণ পেতেও আপনি বেণি বেধে ঘুমাতে পারেন।

১২. ভেজা চুলে ঘুমানো পরিহার করুণ:

ভেজা চুল খুবই নরম ও ভঙ্গুর হয়ে থাকে। ঘুমের সময় চুলের সাথে বালিশের ঘর্ষণ হওয়ায় চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এবং চুল ভেজা থাকার কারণে মাথার চুলে জট লাগার প্রবণতা বেড়ে যায় , যার কারণে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমনঃ

মাথার চামড়ায় সংক্রমণ: ভেজা মাথার চামড়া ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের জন্য একটি আদর্শ বাসস্থান। ফলে চুল ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকলে চামড়ায় সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে অনেক সময় মাথার ত্বকে ঘা হওয়া থেকে শুরুকরে খুশকি এবং নানা রকম চর্ম রোগ হবার ঝুকি থেকেযায়।

চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত: ভেজা চুলে ঘুমানো চুলের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কারণ ভেজা চুলের গোড়া বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে , এতে চুল ঝড়ে পড়া বৃদ্ধি পায় এবং নতুন চুল সহজে গজায় না, সঠীক গ্রোথ ক্ষমতা হারিয়ে যায় এজন্য স্বাভাবিক চুল ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া: ভেজা চুলে ঘুমানো চুলের আদ্রতা নষ্ট করে দিয়ে চুলকে শুষ্ক করে তুলতে পারে। কারণ রাতে ঘুমের সময় দীর্ঘ সময় ধরে চুল ভেজা থাকার কারণে চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়।


শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে পারেন। তবে, যদি আপনার চুলের কোনো সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Leave a Comment