বাংলাদেশে Best 5 Part time চাকরী

Rate this post

Part Time চাকুরী বলতে এমন একটি চাকরিকে বোঝায় যেখানে আপনি পূর্ণ সময়ের চেয়ে কম সময় কাজ করতে পারবেন ।

এটি সাধারণত সপ্তাহে কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টা হতে পারে । পার্ট টাইম কাজের সুবিধা হল আপনি অন্য কাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় করতে পারেন । এটি ছাত্র- ছাত্রী, গৃহিণী বা অন্য যে কেউ করতে পারে যাদের অফিশিয়াল কাজ করার মত সময় নেই ।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার ইচ্ছেমত যে কোন সময় বেছে নিয়ে কাজ করতে পারবেন এর পাশাপাশি আপনি আপনার পড়াশোনা কিংবা অন্যান্য কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন । বর্তমানে বাংলাদেশে এরকম অসংখ্য কাজের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে যা চাইলেই আপনি গ্রাম কিংবা শহর যে কোন জায়গা থেকে করতে পারবেন । তাহলে আসুন বাংলাদেশের এরকম 5 টি Part Time চাকরি সম্পর্কে আলোচনা করি ।

Part Time

Table of Contents

১. Part time- চাকরি হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংঃ

Part Time চাকরি কথা বলতে গেলে প্রথমে এসে ফ্রিল্যান্সিং এর কথা ।

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা আপনার যদি কোনো দক্ষতা থাকে, যেমন লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে ।

ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের কাজ যেখানে আপনি কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ না হয়ে, নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করেন । আপনি আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন, যেমন

লেখালেখিঃ ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ লোগো, ব্রোশার, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি ।

প্রোগ্রামিংঃ ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি ।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদি ।

ভিডিও এডিটিংঃ ইউটিউব ভিডিও, শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি ।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা

স্বাধীনতাঃ আপনি নিজের সময় নিজে নির্ধারণ করতে পারবেন ।

দক্ষতা বিকাশ ঃ নতুন নতুন কাজ করার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে ।

আয়ের সুযোগঃ ভালো কাজ করলে আপনি অনেক বেশি আয় করতে পারবেন ।

বিশ্বব্যাপী কাজ করার সুযোগঃআপনি বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে কাজ করতে পারবেন ।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কী করবেন?

দক্ষতা বিকাশ ঃআপনার যে কোনো একটি দক্ষতায় দক্ষ হয়ে উঠুন ।

পোর্টফোলিও তৈরিঃ আপনার কাজের নমুনা একটি পোর্টফোলিওতে তৈরি করুন ।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মঃ Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল তৈরি করুন ।

নেটওয়ার্কিংঃ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ রাখুন ।

ক্লায়েন্ট খুঁজুনঃ বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খুঁজুন ।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের চ্যালেঞ্জ

প্রতিযোগিতাঃ অনেক ফ্রিল্যান্সার থাকার কারণে প্রতিযোগিতা বেশি ।

অনিয়মিত আয়ঃ কাজের পরিমাণ অনুযায়ী আয় হয় ।

একাকিত্বঃ অন্যদের সাথে কাজ না করার কারণে একাকিত্ব বোধ হতে পারে ।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr এ আপনি কাজ খুঁজে পেতে পারেন । এসব কাজে আপনি নিজেই নিজের মালিক আপনাকে ইচ্ছে হলো আপনি কাজ করলেন আপনার ইচ্ছে হলো না আপনি কাজ করলেন না আপনাকে কারো কাছে জবাব দিহিতা করতে হবে না । মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজারো তরুণ- তরুণী লক্ষ লক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে । আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং Part Time এর মাধ্যমে রাতারাতি ধনী হয়ে যেতে পারবেন ।

২. Part Time- চাকরি হিসেবে টিউশনি

আপনার যদি কাউকে কোন টপিক বোঝানোর ভালো এক্সপেরিয়েন্স থাকে তাহলে আপনি এই পেশাটিকে কাজে লাগাতে পারবেন এবং স্টুডেন্ট অবস্থাতেই মোটামুটি ইনকাম করে ফেলতে পারবেন ।

টিউশনি কেন একটি জনপ্রিয় পার্ট টাইম চাকরি?

সহজলভ্যতাঃ যে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তিই তার জ্ঞানের ক্ষেত্রে টিউশনি দিতে পারেন ।

সময়সূচিঃ আপনি আপনার পছন্দমতো সময়ে টিউশনি দিতে পারেন ।

অতিরিক্ত আয়ঃ টিউশনির মাধ্যমে আপনি আপনার পড়াশোনা বা অন্যান্য খরচ চালাতে পারেন ।

জ্ঞানের বিনিময়ঃ টিউশনি দেওয়ার মাধ্যমে আপনার জ্ঞান আরও দৃঢ় হবে ।

সামাজিক যোগাযোগঃ ছাত্র- ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার সামাজিক দক্ষতা বাড়বে ।

টিউশনি দেওয়ার জন্য কী করবেন?

বিষয় নির্বাচনঃ আপনি যে বিষয়ে দক্ষ, সেই বিষয়েই টিউশনি দিন ।

ছাত্র- ছাত্রী খুঁজুনঃ আপনার পরিচিতদের মধ্যে, স্কুল- কলেজে, বা অনলাইনে ছাত্র- ছাত্রী খুঁজুন ।

ফি নির্ধারণঃ আপনার অভিজ্ঞতা, বিষয়ের জটিলতা এবং অবস্থান অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করুন ।

রিকল্পনা তৈরিঃ প্রতিটি ছাত্রের জন্য একটি পড়াশোনার পরিকল্পনা তৈরি করুন ।

নিয়মিত মূল্যায়নঃ ছাত্রের অগ্রগতি নিয়মিত মূল্যায়ন করুন ।

টিউশনি দেওয়ার সুযোগ বাড়ানোর উপায়

সোশ্যাল মিডিয়াঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার সেবা প্রচার করুন ।

স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ স্কুল, কলেজ বা কোচিং সেন্টারগুলোর সাথে যোগাযোগ করুন ।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মঃ অনলাইন টিউশনি প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন ।

মুখে মুখে প্রচারঃ আপনার পরিচিতদের কাছে আপনার সেবা সম্পর্কে জানান ।

টিউশনির চ্যালেঞ্জ

সময় ব্যবস্থাপনাঃ টিউশনির সাথে সাথে আপনার নিজের কাজও করতে হবে ।

ছাত্রদের সাথে মোকাবিলাঃ প্রতিটি ছাত্রের শেখার ধরন ভিন্ন হতে পারে ।

প্রতিযোগিতাঃ অনেক লোক টিউশনি দেয়, তাই প্রতিযোগিতা থাকতে পারে ।

যদি আপনার কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ছাত্র- ছাত্রীদের টুইশন দিতে পারেন । এটি একটি জনপ্রিয় Part Time কাজ, যা আপনাকে নিয়মিত আয় করতে সাহায্য করবে । আপনি চাইলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন এতে করে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপনি মোটামুটি ভালো রকম রেভিনিউ পাবেন ।

৩. Part Time- চাকরি হিসেবে অনলাইন শপিং

বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট রিভিউ করা ।

আপনি অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে প্রোডাক্ট রিভিউ লিখতে পারেন বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন । এতে করে আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন আয় করতে পারবেন ।

অনলাইন শপিং কীভাবে Part Time চাকরি হতে পারে?

ই- কমার্সঃ কোম্পানিতে কাজ বড় বড় ই- কমার্স কোম্পানিগুলোতে আপনি পার্ট টাইম কাজের সুযোগ পেতে পারেন । এতে আপনাকে পণ্য সরবরাহ, গ্রাহক সেবা, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজ করতে হতে পারে ।

অনলাইন বিক্রয়ঃআপনি নিজের বা অন্যের পণ্য অনলাইনে বিক্রয় করে আয় করতে পারেন । মার্কেটপ্লেস, সোশ্যাল মিডিয়া বা নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি পণ্য বিক্রয় করতে পারেন ।

ফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য প্রচার করে কমিশন আয় করতে পারেন । এটি একটি জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের উৎস ।

ড্রপশিপিংঃ আপনি নিজে কোনো পণ্য স্টক না রেখে, ক্রেতার কাছে পণ্য সরাসরি পাঠিয়ে দিতে পারেন ।

অনলাইন শপিংয়ে Part Time চাকরি করার সুবিধা

স্বাধীনতাঃ আপনি নিজের সময় নিজে নির্ধারণ করতে পারবেন ।

বাসা থেকে কাজঃ আপনাকে অফিসে যেতে হবে না, ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন ।

বিশ্বব্যাপী কাজ করার সুযোগঃ আপনি বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে কাজ করতে পারবেন ।

অতিরিক্ত আয়ঃ আপনার মূল চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন ।

অনলাইন শপিংয়ে Part Time চাকরি করার চ্যালেঞ্জ

প্রতিযোগিতাঃ অনেক লোক অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করে, তাই প্রতিযোগিতা বেশি ।

অনিয়মিত আয়ঃ কাজের পরিমাণ অনুযায়ী আয় হয় ।

টেকনিক্যাল জ্ঞানঃ অনলাইন শপিংয়ের জন্য কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকা জরুরি ।

অনলাইন শপিংয়ে Part Time চাকরি শুরু করার জন্য কী করবেন?

পণ্য নির্বাচনঃ আপনি কোন ধরনের পণ্য বিক্রয় করবেন তা নির্ধারণ করুন ।

প্ল্যাটফর্ম নির্বাচনঃ আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রয় করবেন তা নির্ধারণ করুন ।

মার্কেটিংঃ আপনার পণ্যের প্রচার করুন ।

গ্রাহক সেবাঃ গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন ।

বিনা পরিশ্রমে ও স্বল্পপুজিতে এই কাজগুলো অনেক জনপ্রিয় । বর্তমানে ইউটিউবে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে অসংখ্য টিউটোরিয়াল ভিডিও রয়েছে এবং আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কোর্স কিনে নিতে পারেন

৪. Part Time- চাকরি হিসেবে ব্লগিং

চাকরি হিসেবে ব্লগিং আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ইনকাম সোর্স হচ্ছে ব্লগিং

ব্লগিং করে আপনি দেশে এবং দেশের বাইরে উভয়ে জায়গা থেকে ইনকাম করতে পারবেন । ব্লগিং করার জন্য আপনাকে একটি হোস্টিং এবং ব্লগিং আজকাল শুধু একটি শখ নয়, এটি একটি জনপ্রিয় আয়ের উৎস হিসেবেও পরিচিত ।

আপনার যদি কোন বিষয়ে আগ্রহ থাকে এবং আপনি লেখার শখ পান, তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত পার্ট টাইম চাকরির বিকল্প হতে পারে ।

ব্লগিং কীভাবে Part Time চাকরি হতে পারে?

বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি আয় করতে পারেন । Google Adsense, Media.net ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন ।

স্পনসরড পোস্টঃ কোনো কোম্পানি আপনাকে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে লেখার জন্য টাকা দিতে পারে

এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য প্রচার করে কমিশন আয় করতে পারেন ।

ই- বুক বিক্রয়ঃ আপনি নিজে লেখা ই- বুক বিক্রয় করে আয় করতে পারেন ।

কোচিং বা কনসাল্টিংঃ আপনার বিশেষজ্ঞতার ক্ষেত্রে অন্যদেরকে কোচিং বা কনসাল্টিং দিয়ে আয় করতে পারেন ।

ব্লগিংয়ের সুবিধা স্বাধীনতাঃ আপনি নিজের সময় নিজে নির্ধারণ করতে পারবেন ।

সৃজনশীলতাঃ আপনার সৃজনশীলতা ব্যবহার করে লেখালেখি করতে পারবেন । বিশ্বব্যাপী পৌঁছ আপনার ব্লগ বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে পড়া হতে পারে ।

প্যাসন প্রজেক্টঃ আপনার পছন্দের বিষয়ে লেখালেখি করে আনন্দ পাবেন ।

ব্লগিংয়ের চ্যালেঞ্জঃ

সময় লাগেঃ একটি সফল ব্লগ তৈরি করতে সময় লাগে ।

প্রতিযোগিতাঃ অনেক ব্লগার আছে, তাই প্রতিযোগিতা বেশি ।

আয় স্থিতিশীল নয়ঃ আয় সবসময় একই থাকবে না ।

টেকনিক্যাল জ্ঞানঃ ব্লগ তৈরি এবং ম্যানেজ করার জন্য কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকা জরুরি ।

ব্লগিং শুরু করার জন্য কী করবেন?

বিষয় নির্বাচনঃ আপনি কোন বিষয়ে লেখালেখি করবেন তা নির্ধারণ করুন ।

ব্লগের নামঃ একটি আকর্ষণীয় নাম নির্বাচন করুন ।

প্ল্যাটফর্ম নির্বাচনঃ WordPress, Blogger ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করুন ।

নিয়মিত পোস্টঃ নিয়মিত ভালো মানের পোস্ট করুন ।

সোশ্যাল মিডিয়াঃ আপনার ব্লগ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন ।

SEOঃ আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে এমনভাবে অপটিমাইজ করুন ।

ব্লগিং একটি দুর্দান্ত Part Time চাকরির বিকল্প । তবে সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং নিজেকে উন্নত করতে থাকতে হবে ।

আপনি কি ব্লগিং শুরু করতে চান? আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ।

আপনার সফলতা কামনা করি! আপনি আরো জানতে চাইলে এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কনটেন্ট মার্কেটিং SEO

আপনার জন্য কিছু সহায়ক লিংকঃ

এখানে ক্লিক করুণ

Leave a Comment