মুহাম্মদ সাঃ এর চরিত্রের 10 টি Greatest গুণাবলি:

3/5 - (1 vote)
মুহাম্মদ সাঃ

মুহাম্মদ (সাঃ) যিনি ছিলেন পৃথিবীর সর্বোত্তম মানব। তিনি শুধুমাত্র একজন নবী হিসেবেই নয়, বরং মানবতার জন্য ছিলেন এক আদর্শ ব্যক্তিত্ব। কেবলমাত্র মুসলমানদের জন্যই নয় তাকে পাঠানো হয়েছিল সমগ্র বিশ্বের নবী হিসেবে। বর্তমান পৃথিবীতে আজও কেউ তার ব্যক্তিত্বের ধারে কাছে যেতে পারেনি আর কখনো পারবেনা। তাঁর জীবন ও তার কর্ম পুরো মানব জাতির জন্য সর্বদা একটি অনুকরণীয় মডেল হয়ে থাকবে। তাঁর চরিত্রের মধ্যে ছিল এমন অভূতপূর্ব সব গুণাবলি যা তাঁকে সকল মানুষের জন্য আদর্শ করে রেখেছ। আজকের এই আর্টিকেলচটিতে আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চরিত্রের ১০টি মহৎ গুণাবলি নিয়ে আলোচনা করব।

১. সত্যবাদিতা (আল-সিদ্দীক):

মুহাম্মদ (সাঃ) কেবল একজন নবী হিসেবেই নয় বরং তিনি মানুষ হিসেবেও ছিলেন সবার থেকে আলাদা ও মহান। আইয়ামে জাহেলিয়াতে তখনকার অন্ধকার যুগে যেখনে শুধু খুন রাহাজানি লুটপাট ও মিথ্যের রাজত্ব চলছিলো তখনো তিনি ছিলেন মানুষের ভরসার কেন্দ্রবিন্দু। তিনি ছিলেন একজন সদা সত্যবাদী যিনি তার ৬৩ বছরের জীবনে ১টা ও মিথ্যে কথা বলেননি, আমানতদার এবং মহান চরিত্রের অধিকারী। ইসলামে তাঁকে আল-সিদ্দীক বলা হয়, যার অর্থ সত্যবাদী। তাঁর জীবনের প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি কথা এই সত্যতাকে প্রমাণ করে।

কেন মুহাম্মদ (সা.) সত্যবাদী হিসেবে পরিচিত?

নবুওতের পূর্বে: নবী হওয়ার অনেক আগ ছোটোবেলা থেকেই তিনি তাঁর সমাজে সত্যবাদী ও আমানতদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শৈশব কাল থেকেই তিনি মক্কার লোকদের আল্লাহর প্রতি নাফরমানি এবং অনাচার দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। কুরাইশরা তার বিশ্বস্ততার কারণে তাঁকে ‘আল-আমিন’ অর্থাৎ বিশ্বস্ত ব্যক্তি বলে ডাকত।

নবুওতের পর: চল্লিশ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন, নবুওতের পরও তিনি সত্যের পথে অবিচল ছিলেন। তাঁর উপর যে ওহি নাযিল হতো তিনি তা মনে প্রাণে ধারণ করেন এবং তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেন।

কঠিন পরিস্থিতিতেও সত্যবাদিতা: তাঁর উপর ইসলাম প্রচারের দায়ে কত রকম অত্যাচার, নির্যাতন করা হয়েছিল, এমনকি তাকে অঢেল টাকা আর নারী দিতে চেয়েও প্রলোভন দেখানো হয়েছিলো যাতে তিনি আল্লাহর পথ থেকে দূরে সরে আসেন, আর ইসলাম প্রচার করা ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি একবারও সত্য থেকে বিচ্যুত হননি।

সাহাবীদের উদাহরণ: তিনি নিজে যেমন চরিত্রের অধিকারী ছিলেন সেরুপ তার সাহাবীদেরকেও সত্যবাদিতার শিক্ষা দিতেন। তিনি একবার এক লোককে চুরি করা এবং খারাপ অভ্যেস ত্যাগ করতে চাওয়াতে তাকে সবার আগে মিথ্যে কথা বলা ত্যাগ করার সু পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবং তার কথা মেনে সেই লোকটিও অত্যন্ত ভালো মানুশে পরিণত হয়ে ছিলেন। তিনি নিজেও এর অনুসরণ করতেন।

মুহাম্মদ (সা.) এর সত্যবাদিতা আমাদের জন্য একটি আদর্শ। আমাদেরও তাঁর অনুসরণ করে সত্যবাদী হওয়া উচিত। সত্যবাদিতা আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলবে এবং সমাজকে উন্নত করবে।

২. মুহাম্মদ (সা.) এর বিশ্বস্ততা (আল-আমিন):

আইয়ামে জাহেলিয়াত – যার মানে দাড়াচ্ছে অন্ধকারের যুগ। আরব অর্থাৎ মুসলমানের ইতিহাসে আর কখনও এমন সময় আসেনি হয়তো আসবেও না। মানুষ ছিলো বেহায়া এবং বেপরোয়া।

এমন কোনো খারাপ কাজ ছিলোনা যা সেই সময় হতোনা। তখন যে সবচে বেশি নিষ্ঠুর ও খারাপ ছিল সেই সবচে ক্ষমতাবান প্রমাণিত হতো। মানুষ একে অন্যকে খুন করতে দ্বিধাবোধ করতোনা। আর সবচেয়ে বেশি যেটা হতো তা ছিলো আমানতের খিয়ানত। রাসুলে পাক মুহাম্মদ সাঃ এত এত বিশ্বস্ত ছিলেন যে তার শ্ত্রুরা ও পর্যন্ত তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে নিতো।

মক্কার কাফের কুরাইশ রা পর্যন্ত তার বিশ্বস্ততার মূল্যায়ন দেখে এত বেশি ভালোবেসে ছিলো যে তারা সকলে তাকে আল-আমিন (বিশ্বস্ত) বলে ডাকতো।

মুহাম্মদ সাঃ এর দয়া ও করুণা:

মহান রব আল্লাহ তা’আলা তাঁকে ‘রহমতুল্লিল আলামিন’ অর্থাৎ সারা বিশ্ব জাহানের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন।পৃথীবিতে এবং আখিরাতে যত মানুষ আসবেন ও গেছেন তারা সকলেই শেষ বিচারের দিন অসহায় হয়ে পড়েবন, কেবলমাত্র রাসুলে পাক মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া। শুধু তিনিই আল্লাহর কাছে আমাদের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন।

তিনি শুধু মুসলমানদের প্রতিই নয়, বরং সকল ধর্ম বরণ, জাতি ইত্যাদি ভেদাভেদ ভূলে সকল মানুষ, প্রাণী এবং নিরীহ জীবের প্রতি দয়া করতেন, যা আমরা তার জীবনি ঘেটে দেখিলেই পাই। তিনি নিজে একজন এতিম ছিলেন, জন্মের আগে তার বাবা মারা যান, মা মারা যান শৈশবে। তিনি অনাথ, দুঃখী, অসহায় মানুষদের প্রতি বিশেষভাবে করুণা দেখাতেন। কাউকে কখনোও হেয় প্রতিপন্ন করতেন না।

শত্রুদের প্রতিও দয়া: যুদ্ধের সময়ও তিনি শত্রুদের প্রতি দয়া করতেন। যার সবচে বড় উদাহরণ ছিলো মক্কা বিজয়ের পর সব্বাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা। এছাড়াও সেই বিখ্যাত ঘটোনা তো আমাদের সকলেরই জানা। যে বুড়ি পথে কাটা বিছিয়ে মুহাম্মদ সাঃ কে কষ্ট দিতেন। তবুও বুড়ী খুব অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তার বাড়ী অব্দি গিয়ে তার সেবা করে তাকে সুস্থ্য করে তোলেন।

প্রাণীদের প্রতি দয়া: তিনি প্রাণীদের প্রতিও দয়া করতেন এবং তাদের কষ্ট দেওয়ার বিরোধিতা করতেন। তিনি সব সময় তার সাহাবি দেরকে প্রাণী দের কষ্ট দেয়ার বিরুদ্ধে নিরুসাহিত করতেন। তিনি আরও অনেক ভাবে দয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

৪. মুহাম্মদ সাঃ এর ক্ষমা:

মুহাম্মদ সাঃ এমন একজন ব্যাক্তি ছিলেন যিনি তার জীবদ্দশায় কাউকে তিরস্কার করে কথা পর্যন্ত বলেননি। হাজারো কষ্ট দেয়া হলেও তার মুখে লেগে থাকতো মুচকি হাসি। তিনি ছিলেন ভালোবাসার মূর্ত প্রতিক। তিনি সমস্ত মানব কুলে ক্ষমার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

তিনি সাহাবীদের সঙ্গে অনেক ভালো ব্যবহার করতেন। সাহাবীরা তার খিদমতে আসলে তিনি তাদের সকলের কথা শুনতেন এবং সেই অনুযায়ী সমস্যার সমাধান দিতেন। তিনি গরীব দুঃখিদের কে অত্যন্ত ভালোবাসতেন।মক্কার কাফিররা তাকে অনেক অকথ্য ভাবে নির্যাতন করতো। তিনি ইসলাম প্রচার করতে চাওয়ার কারণে তার নিজ গোত্রের লোকেরাই তার প্রধাণ শ্ত্রু হয়ে যায়। তার চাচা আবু জাহেল ও তার সাগরেদ উতবা সায়েবারা মিলে নামাযরত অবস্থায় তার পিঠে উটের নারি ভূড়ি চাপিয়ে দেয়। তাকে প্রহার পর্যন্ত করতে দ্বীধা করেননি। পরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হলে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে আবু বকর রাঃ কে সাথে নিয়ে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন। ইসলামের বিজয় হলে রাসুলুল্লাহ সাঃ সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

ক্ষমার এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মুহাম্মদ সাঃ এর জিবনী থেকে আমাদের ক্ষমা করার ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

৫. সহনশীলতা:

রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তিনি শুধু একজন নবীই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একজন সহনশীল, দয়ালু ও করুণাময় ব্যক্তি। তিনি তাঁর জীবনকালে কত অত্যাচার সহ্য করেছেন, কত নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু তিনি কখনো কাউকে খারাপ বলেন নি, না কখনও কাউকে অপমান করেছিলেন। বরং তিনি সবসময় ক্ষমাশীলতা ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন

তিনি আল্লাহর বন্ধু ও রাসুল হওয়া স্বত্তেও তার কোনো অহংকার ছিলোনা। তিনি সবসময় মানুষের ভালো চেয়েছেন। তিনি তো চাইলে আল্লাহর কত রক্কম আজাব দিয়ে তার শ্ত্রুদের কে মুহূর্তে শেষ করে ফেলতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। তায়েফে ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে তায়েফ বাসী যখন তাকে আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলল তখন জিবরাঈল আঃ এসে তাদেরকে আজাবের মাধ্যমে ধংস করে দিতে চাইলে রাসুল সাঃ জিবরাঈল আঃ কে নিষেধ করেন। এমন অনেক উল্যেখ যোগ্য কারণ রয়েছে যাতে করে আমরা তাদের সহনশীলতা কেমন ছিলো তা জানতে পারি।

৬.রাসুলুল্লাহ মুহাম্মদ সাঃ এর নম্রতা:

রাসুলুল্লাহ (সা.) কেবল একজন নবীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত নম্র ও বিনয়ী ব্যক্তি। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হওয়া সত্ত্বেও কখনো গর্ব করেননি। তিনি সবসময় সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতেন, বিশেষ করে দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি। তিনি সাহাবীদের সাথে বসে খেতেন, তাদের সাথে কাজ করতেন এবং তাদের মতোই জীবনযাপন করতেন। তাঁর নম্রতা ছিল এমন যে, তিনি গরীবদের সাথে খাবার ভাগ করে নিতেন এবং তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নম্রতা আমাদের জন্য একটি আদর্শ, যা আমাদেরকে সবসময় নম্র ও বিনয়ী থাকার শিক্ষা দেয়।

মূলত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নম্রতা ছিল তাঁর মহান চরিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৭.রাসুলুল্লাহ মুহাম্মদ সাঃ এর সাহস:

রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সাহসের এক উত্তম প্রতীক। একাকী তিনি নির্দয় ও বর্বর কুরাইশদের অবিশ্বাস ও নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। মক্কার কাফিরদের অত্যাচার, হুমকি-ধমকি, বয়কট, সব সহ্য করে তিনি একা ইসলামের প্রচার করে গেছেন।

মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করেছেন। বদর যুদ্ধের মতো কঠিন যুদ্ধে তিনি নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ইসলামের অনেক বড় বড় যুদ্ধে তার সাহসিকতা উল্লেখ যোগ্য। তাঁর সাহস ছিল এক কথায় অদম্য। তিনি কখনো ভীত হননি, কখনো কোনো কারণে পিছু হটেননি। তাঁর সাহসই তাকে ইসলামকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। তাই তিনি শুধু মুসলমানদের কাছেই নয়, সারা বিশ্বের জন্য একজন অনুপ্রেরণা।

৮.রাসুলুল্লাহ মুহাম্মদ সাঃ এর ধৈর্য:

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবন ছিল ধৈর্যের এক অনবদ্য উদাহরণ। তিনি কুরাইশদের অবিশ্বাস, অত্যাচার এবং নানাবিধ কষ্ট সহ্য করেছেন অক্লান্তভাবে। মক্কায় তাঁর উপর যে অত্যাচার হয়েছিল, তা ইতিহাসে এক অন্যন্য অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। তবুও তিনি ধৈর্য হারাননি, বরং দোয়া করেছেন, আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছেন।

তাঁর এই ধৈর্যই তাকে সফল করেছে, ইসলামকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ধৈর্য আমাদের জন্য এক মহান শিক্ষা। জীবনের নানাবিধ কষ্ট ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করলেই আমরা সফল হতে পারি।

৯. রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পরিশ্রম:

তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইসলামের প্রচার ও মানুষের কল্যাণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি দিনরাত এক করে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন।

মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন এবং সমাজকে সংস্কার করেছেন। তাঁর পরিশ্রমের ফলেই আজ পৃথিবীতে মুসলমানদের সংখ্যা কোটি কোটি। তিনি তাঁর জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ইসলামের সেবা করেছেন। তাঁর এই পরিশ্রম আমাদের জন্য অনুসরণের একটি আদর্শ । তিনি অবিরাম মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন। তখনকার দিনে সমাজের নানা কুপ্রথা ছিলো যা তিনি দূর করেছেন এবং নতুন একটি সভ্যতার সূচনা করেছেন। এবং মদিনায় একটি নতুন ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করেছেন । ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষার জন্য তিনি যুদ্ধ করেছেন।

১০.রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ন্যায়পরায়ণতা:

একজন অনন্য ন্যায়বিচারক। তাঁর জীবনের প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি কাজে ন্যায়ের ছাপ ছিল। তিনি সর্বদা ইনসাফের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং অবিচারের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর ন্যায়পরায়ণতা ছিল এতই প্রখর যে, তিনি নিজের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি।

কাবা পুনর্নির্মাণের সময় হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে সবাই রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ন্যায়বিচারকেই গ্রহণ করেছিল। যখন তাঁর কন্যা ফাতিমা (রা.) নিজের অধিকারের জন্য তাঁর কাছে এসেছিলেন, তখন তিনি তাঁকেও শরীয়তের আলোকেই বিচার করেছিলেন। যুদ্ধবন্দীদের সাথে তিনি মানবিকতার সঙ্গে ব্যবহার করতেন এবং তাদের অধিকার রক্ষা করতেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবন আমাদের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদেরকে শিখিয়েছে যে, মানুষ কীভাবে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে। তিনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন যে, সত্য, ন্যায়, দয়া, করুণা, ক্ষমা, সহনশীলতা এবং অন্যান্য সৎগুণগুলি মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা যদি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবন ও কর্ম অনুসরণ করতে পারি, তাহলে আমরা নিজেরা সুখী হব এবং অন্যদেরকেও সুখী করতে পারব।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মুহাম্মদিন ওয়া আলা আলি সাইয়িদিনা মুহাম্মদিন

Leave a Comment